করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষার জন্য স্মার্টফোন (মোবাইল) কিনতে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ





দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর অথবা অধ্যয়নকালীন চারটি কিস্তিতে বা এককালীন আসল টাকা শিক্ষার্থীরা পরিশোধ করতে পারবেন।





আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) ইউজিসির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউজিসির অন্যান্য সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।





করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকবে। অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে গত





২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুলাই থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু ক্লাস শুরুর পর শিক্ষকেরা দেখতে পান, বিভাগভেদে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না।





শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বলছে, ডিভাইস ও ইন্টারনেট খরচের সমস্যার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীদের বড় অংশ ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন না। অনেকের অনাগ্রহও আছে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত





অঞ্চলে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার কারণে ঠিকমতো ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। এ ছাড়া অনলাইনে কেবল ক্লাস হচ্ছে, পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেশনজট হচ্ছেই।





ইউজিসি জানিয়েছে, ওই তালিকা অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৮ হাজার ৫৫৬ জন অসচ্ছল। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় এই হার ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৪৩ হাজার।





অন্যদিকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
Leave a Reply